সাইফকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সেই অটোচালক কত টাকা পেলেন
- বাড়ির কোনো গাড়ি প্রস্তুত ছিল না। অটোরিকশায় চড়ে লীলাবতী হাসপাতালে পৌঁছান আহত সাইফ আলী খান। সে সময় অভিনেতার সঙ্গে ছিল ৮ বছর বয়সী সন্তান তৈমুর। অভিনেতাকে শুধু দ্রুততার সঙ্গে হাসপাতালেই পৌঁছে দেননি, ভাড়াও চাননি অটোচালক ভজন সিং রানা। অভিনেতার জীবন বাঁচিয়ে প্রশংসার পাশাপাশি এবার পুরস্কার পেয়েছেন ভজন। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, অটোচালক ভজন সিং রানাকে ১১ হাজার রুপি পুরস্কার দিয়েছে ফাইজান আনসারি নামের এক সমাজকর্মী।
- ঘটনা গত বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটা কি তিনটার দিকে হবে। বান্দ্রা লিঙ্কিং রোডের গলি ধরে অটো চালিয়ে যাচ্ছিলেন ভজন সিং রানা।
- সাইফের বাসভবন সদগুরু শরণ অ্যাপার্টমেন্টের কাছ দিয়ে যেতে যেতে হঠাৎ দেখেন, সামনে এক নারী ‘রিকশা রিকশা’ বলে চিৎকার করছেন।ততক্ষণে বাড়ির ফটক থেকেও কয়েকজনের ডাক শুনতে পান তিনি। গেট পেরিয়ে একটু এগিয়েই গিয়েছিলেন ভজন। ডাকাডাকি শুনে ইউ টার্ন করে এসে দরজার সামনে অটো থামান।
সাইফ আলী খানের সাদা কুর্তা তখন রক্তে ভেসে যাচ্ছে। নিজের পরিচয় দিয়ে অটোচালক ভজনকে কাছের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন অভিনেতা। কথা রাখেন চালক। যত দ্রুত সম্ভব তাঁকে নিয়ে যান লীলাবতী হাসপাতালে। এমনকি কোনো ভাড়াও চাননি তিনি। এ জন্যই এবার পুরস্কার পেলেন অটোচলাক।
পুরস্কার পাওয়ার পর ভজন বলেন, ‘ওই সময় আমার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল কত দ্রুত আমি তাঁকে নিয়ে হাসপাতালে যেতে পারব; সেটাই করেছি। সেই সময় তো বুঝতেও পারিনি অত বড় তারকা আমার অটোতে বসেছেন। তখন ভাড়া চাওয়ার কথাও মাথায় আসেনি। এমন পরিস্থিতিতে কাউকে সাহায্য করতে পারা পুরস্কারের সমান।’
সাইফ আলী খানকে সে সময় সহযোগিতা করতে পেরে বেশ উচ্ছ্বসিত ভজন সিং। জানান, অভিনেতা ডাকলে যেকোনো সময় দেখা করতে প্রস্তুত তিনি। দুই দিন আগে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভজন বলেছিলেন, ‘সাইফ যদি আমার সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন, অবশ্যই আমি আসব। যদি তিনি আমাকে কোনো পুরস্কার দিতে চান, যা তাঁকে আনন্দিত করবে, তা আমি কীভাবে ফেরাব?’
জানা গেছে, সাইফ আলী খান এখন অনেকটাই সুস্থ। গতকাল সোমবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়ার কথা ছিল। আজ মঙ্গলবার তিনি বাড়ি ফিরতে পারেন।