Ticker

6/recent/ticker-posts

Ad Code

অবসরের ১৫ বছর পর হঠাৎ কেন আলোচনায় আম্পায়ার বাকনর

 ২০ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারিং করেছেন। ছিলেন ১২৮ টেস্ট, ১৮১ ওয়ানডের আম্পায়ার। নিজের জগতে বিখ্যাত ছিলেন। নইলে তো টানা পাঁচটি বিশ্বকাপ (১৯৯২ থেকে ২০০৭) ফাইনালে আম্পায়ারিং করার কথা নয় স্টিভ বাকনরের!

বিখ্যাত এই আম্পায়ার অবসর নিয়েছেন সেই ২০০৯ সালে। দেড় দশক পর হুট করে আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ট্রেন্ড’ হয়ে উঠেছেন এই ক্যারিবীয় ভদ্রলোক।

কিন্তু কেন?


বাকনর এত দিন পর আলোচনায় এসেছেন নিজের কৃতকর্মের কারণেই। তবে সেটা বর্তমানের নয়, অতীতের। আর তাঁর অতীতকে সামনে এনেছেন ক্রিকেটের মহাতারকা শচীন টেন্ডুলকার। বাকনরের সেই কাজের সঙ্গে যে টেন্ডুলকার নিজেই জড়িত!

কাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম একটি ছবি পোস্ট করেছেন টেন্ডুলকার। সেখানে ব্যাটিং স্টান্স নিয়ে দাঁড়ানো ছিলেন তিনি। পেছনে বড় বড় তিনটি গাছ। এমন ছবি পোস্ট করে টেন্ডুলকার ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘কেউ অনুমান করতে পারেন, কোন আম্পায়ার স্টাম্পকে এত বড় মনে করতেন?’

ব্যাস! তারপর থেকেই কমেন্ট বক্সে শুধু বাকনর! কেউ সরাসরি নাম বলেছেন। কেউ তো বহুল আলোচিত এক ঘটনার ভিডিও দিয়েছেন। সাবেক ক্রিকেটার, বর্তমানে ধারাভাষ্যকার আকাশ চোপড়া লিখেছেন, ‘একটা নাম। কত স্মৃতি। বাকনর সব সময়ই এটাকে আকর্ষণীয় করেছে।’

এক সমর্থক লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে বাকনরের সিদ্ধান্ত থেকে স্টাম্প নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে।’

বাকনর–টেন্ডুলকারের সেই ঘটনাটি ২০০৩ সালে ব্রিসবেনের গ্যাবার। জেসন গিলেস্পির বল টেন্ডুলকারের প্যাডে লাগে। তবে বলটি বেশ ওপরে উঠেছিল। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল, বল স্টাম্পের ওপর দিয়েই যাবে। তবে গিলেস্পি আবেদন করার পর কিছুটা সময় নিয়ে তর্জনী তুলে দেন বাকনর। ওই ঘটনাকে তখনই ‘ভয়ানক সিদ্ধান্ত’ বলেছিলেন ধারাভাষ্যকার টনি গ্রেইগ। সেই ইনিংসে ৩ বলে ০ রানে ফেরেন টেন্ডুলকার।

সেটাই প্রথম নয়। এরপর আরও একবার শচীন টেন্ডুলকারকে ভুল আউট দিয়েছিলেন বাকনর। ২০০৫ সালে কলকাতার ইডেন গার্ডেনে পাকিস্তানের আবদুল রাজ্জাকের বলে টেন্ডুলকারকে কট বিহাইন্ড দিয়েছিলেন আলোচিত এই আম্পায়ার।


দুটি ঘটনাই টেস্টের। সিদ্ধান্ত দুটি যে ভুল ছিল, আম্পায়ার বাকনর পরে তা স্বীকার করেছেন। ২০২০ সালে বার্বাডোজের ‘ম্যাসন অ্যান্ড গেস্ট’ বেতার অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘মানুষ মাত্রই ভুল করে। একবার অস্ট্রেলিয়ায় তাকে (টেন্ডুলকারকে) লেগ বিফোর উইকেট দিয়েছিলাম, যদিও বলটা ওপর দিয়ে যেত। আরেকবার ভারতে কট বিহাইন্ড ঘোষণা করেছিলাম। ব্যাট পেরিয়ে যাওয়ার পর বলটা দিক পরিবর্তন করে, যদিও কোনো ছোঁয়া লাগেনি। তবে মনে রাখতে হবে, ম্যাচটি হচ্ছিল ইডেন গার্ডেনে। আর ইডেনে যখন ভারত ব্যাটিংয়ে থাকে, লাখখানেক দর্শকের চিৎকারে আপনি কানে কিছুই শুনতে পারবেন না।’

ব্যাটসম্যানের জীবনে নিজের উইকেটের চেয়ে প্রিয় আর কীই–বা থাকে! ভুলবশত হলেও টেন্ডুলকারকে দুবার আউট না হয়েও ড্রেসিংরুমে ফিরতে হয়েছে। তাই হয়তো ঘটনা দুটি তিনি ভুলতে পারেননি। এত বছর পর আকার–ইঙ্গিতে মনে করালেন!



Post a Comment

0 Comments